আরিফুল ইসলাম, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ পাট ও পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পেঁয়াজ লাগানোর ধুম পড়েছে। চলতি মৌসুমে শুরুতে অকাল বৃষ্টির কারনে বীজতলা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বর্তমানে পেঁয়াজ লাগানোর কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন পেঁয়াজ চাষিরা। মৌসুমের শেষের দিকে হলেও সবাই পেঁয়াজ চাষে মনোযোগ দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি এলাকায় পেঁয়াজের আবাদ হচ্ছে। চলতি পেঁয়াজ মৌসুমে উপজেলার মোট জমির প্রায় ৮০-৮৫ শতাংশ জমিতে পেয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সব হিসেব করলে দাঁড়ায় প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে এ বছর পেয়াজ চাষ হচ্ছে। মৌসুমের শুরু তে অকাল বৃষ্টি হানা দেওয়ার কারণে চাষাবাদ কমে যেতে পরে বলে মনে করেছিলেন কেউ কেউ। অনেক জমিতে এখনও পানি জমে আছে। অনেক জমির পানি আবার সেলোমেসিন দিয়ে সড়িয়ে তারপর পেঁয়াজের আবাদ করা হচ্ছে।
উপজেলার সবটুকু জমিই যেন কৃষির উপযোগী, বাড়ির আঙ্গিনা, রাস্তার ধার, নদীর পার সব জায়গা যেন পেঁয়াজের ক্ষেত। তবে সার, বীজ, মজুরের টাকার খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় মোট উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। মৌসুমের শুরুতে সে পরিমান দাম কম থাকায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
কয়েকজন পেয়াজ চাষিদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, অকাল বৃষ্টির কারনে আমরা পেয়াজ রোপনে পিছিয়ে পরেছি, বর্তমানে পেয়াজ লাগানোর কাজে ব্যাস্তসময় পার করছি। অকাল বৃষ্টিতে আমাদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে, আবার অনেকেই পেয়াজ রোপন করতে পারবে না। পেয়াজ চাষে সরকারি কৃষি ভর্তুকি বাড়ানোর কথা বলেন কেউ কেউ।
সালথা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জীবাংশু দাস বলেন, অকাল বৃষ্টির কারনে কিছুটা সমস্যা তৈরি হলেও উপজেলায় প্রায় ১১হাজার হেক্টর জমিতে এবছর পেয়াজের আবাদ হচ্ছে। গতবছর দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকেরা পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী। কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ বছর উপজেলার ৫২০ জন কৃষককে বিনামূল্যে স্যার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। পেঁয়াজ চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও পেঁয়াজ চাষ নিয়ে যে কোন সমস্যার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply