গত ২ আগষ্ট কয়েকটি অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল হাসান খানের অনুপস্থিতি ও দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। প্রকাশিত ঐ সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা জানিয়েছেন আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ শহিদুল হাসান খান (সোহাগ)।
চেয়ারম্যান শহিদুল হাসান খান প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমার পরিষদের সদস্য তার ভাইকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এই নিউজ করিয়েছেন। মুলত সাংবাদিক সাহেব স্বর-জামিনে না এসে, আমার বক্তব্য না নিয়ে মনগড়া একটি সংবাদ প্রকাশ করেছেন, যা মুলধারার সাংবাদিকতার পরিপন্থী। মুলত সামাজিকভাবে আমার মান ক্ষুন্ন করার জন্য তথ্যহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্য মুলধারার সংবাদমাধ্যমের বদনাম হয়। আমি সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানাই।
আমি পরিষদে উপস্থিত না থাকলেও নিয়মিত খোঁজ খবর রাখি। সদস্যরা মিলে পরিষদ পরিচালনা করছেন। যদি কোন দূর্নীতি হয় তা দুএকজন সদস্য করেছে। উন্নয়ন তহবিল, কাবিখা, কাবিটা, টিআর, এডিপির প্রকল্পের প্রায় কোন প্রকল্পের বরাদ্দ নাই। যা বরাদ্দ পাওয়া যায় তা সবার মাঝে সুন্দর করে বন্টন করে দেওয়া হয়। যদি কোন অনিয়ম হয় তাহলে ঐ সদস্য নিজে তা করেছে, এখানে আমি তো কাজ করি নাই৷ সকল সদস্যদের কাছ থেকে তালিকা নিয়ে সেলাই মেশিন ও স্প্রে মেশিন সঠিকভাবে বন্টন করা হয়েছে। যার সকল তালিকা ও ছবি পরিষদে সংরক্ষণ করা আছে।
ভিজিডি কার্ড, রেশন কার্ড সহ সব তালিকা পরিষদের সকল সদস্যদের কাছ থেকে নেওয়া হয়, এরপর অনলাইনে আবেদন করা হয়। সেই তালিকা থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অথবা ট্যাগ অফিসার এসব কার্ডের জন্য যাচাই বাছাই করেন, তাদেরকেই কার্ড প্রদান করা হয়। এখানে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বললেই চলে। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে আমাকে জানন, আমি তাৎখনিক তা সমাধান করবো। মিথা অপবাদ দিয়ে তা নিয়ে প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে আমার সম্মান নষ্ট করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আমার দাদা মরহুম গোলাম আলী খান একটানা ৪০ বছর সুনামের সাথে আটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তখন বর্তমান রামকান্তপুর ও আটঘর মিলে একটি ইউনিয়ন ছিলো। আমি পরপর দুবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। বর্তমানে সুনামের সাথে আমি জনগণের সেবা করে যাচ্ছি। মহামারী করোনা কালিন সময়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে আমি নগদ টাকাসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করি। পরিষদে সরকারি বরাদ্দের সবটুকুই আমি যথাযথভাবে বিতরণ করি। এছাড়াও আমি নিয়মিত আমার সাধ্য অনুসারে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি।
আমার বর্তমান জনপ্রিয়তা, অনুপস্থিতি ও সামনে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারনে আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়ছে। সংবাদ প্রকাশের জন্য একটি অভিযোগের উপর ভিত্তি করে সত্যতা নিশ্চিত না করে এই ধরনের একটি সংবাদ অনলাইন বা পত্রিকায় প্রকাশ করা আদৌ যৌক্তিক কিনা তা আমার বোধগম্য নয়। এই ধরনের একটি সংবাদ আটঘর ইউনিয়নসহ পুরো উপজেলার জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আমি মনে করি। অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে অতি উৎসাহী হয়ে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়া এই ধরনের একটি সংবাদ প্রকাশ করে জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের অনুরোধ জানাই।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply